দিন-রাত পরিশ্রম করেও সংসারের আর্থিক অনটন মেটাতে পারছিলেন না এক ভ্যানচালক। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি হয়ে গেলেন কোটিপতি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, দিনহাটা থানার গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরাম গ্রামের বাসিন্দা ফজলে মিয়া। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এলাকার দোকান থেকে মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে লটারি টিকিটের একটি তোড়া কেনেন। খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর রাতে তিনি ওই দোকানে লটারি মেলাতে যান। টিকিট নম্বর মেলাতে গিয়ে দেখেন, প্রথম পুরস্কারের টিকিট নম্বর এবং তার টিকিট নম্বর একই। এভাবে মাত্র ৬০ টাকায় কোটিপতি হয়ে গেছেন তিনি।
কোটিপতি হয়েছেন বুঝতে পেরেই ফজলে মিয়া দ্রুত ওই দোকান থেকে সরাসরি বাড়িতে ফিরে যান। প্রথমে কাউকে কিছু বলেননি তিনি। যদিও খবরটি গোপন থাকেনি। খবর পেয়েই এলাকাবাসী অভিনন্দন জানাতে তার ভাঙা বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এটি দেখে আনন্দের থেকে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফজলে মিয়া।
নিরাপত্তার অভাবে তিনি রাতেই গীতালদহ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে কর্মকর্তাদের পুরো বিষয়টি জানান। তারপর সেখানে বিশেষ ভরসা না পেয়ে নিরাপত্তার জন্য সরাসরি দিনহাটা থানায় ছুটে যান। দিনহাটা থানার পুলিশ অবশ্য নিরাশ করেননি ওই ভ্যানচালককে। নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তাকে। এরপরই কোটি টাকা হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে প্রথম পুরস্কার জেতা লটারি টিকিটটি থানায় জমা রাখেন ফজলে মিয়া।
স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে ফজলে মিয়ার সংসার। ছেলে যুবক হলেও এখন পর্যন্ত সেভাবে কোনো কাজ করেন না। ফলে ৬৮ বছর বয়সেও ভ্যান চালিয়ে সংসার সামলাতে হয় তাকে।
অভাবী ফজলে মিয়ার কোটিপতি হওয়ার খবরটি শুনে খুশি প্রতিবেশীরাও। তারা জানান, ভ্যান চালিয়ে কোনোভাবেই সংসার চলত না তার। সত্যিই ভালো লাগছে।
কোটি টাকা দিয়ে কী করবেন, উত্তরে ফজলে মিয়া বলেন, ‘লটারি টিকিট থেকে পাওয়া এক কোটি টাকা দিয়ে প্রথমে ভাঙা বাড়িটি নতুন করে তৈরি করব। তারপর বাকিটা ভাবব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
জেএইচটি