কলম্বিয়া-ভেনেজুয়েলা সীমান্তে দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
কলম্বিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আরাউকা প্রদেশে সোমবার রাতে ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) এবং রেভলিউশনরি আর্মড ফোর্স অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দুকে বলেছেন, বেশ কিছু সাধারণ মানুষ দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের মাঝখানে আটকা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনার জন্য তিনি ভেনেজুয়েলাকে দায়ী করেছেন। তার অভিযোগ, দেশটি এই দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করে। সীমান্ত থেকেই তারা কাজ করে, বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে দুই ব্যাটেলিয়ান সেনা পাঠানোর কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট দুকে বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারা সেখানে পৌঁছে যাবে। অবশ্য দুকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এখন ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
কলম্বিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের মধ্যে বেশ কিছু পরিবার পালাতে পেরেছিল। কিন্তু কয়েকজন পালাতে পারেননি। গুলির লড়াইয়ে তারা মারা গেছেন। নিহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ফার্ক বিদ্রোহী সক্রিয়। সেই সঙ্গে রয়েছে আড়াই হাজার ইএলএন বিদ্রোহী। মানবাধিকার সংস্থা ওমবাডসম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, মাদক চোরাকারবারে আধিপত্য নিয়েই এ সংকট তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভেনেজুয়েলার সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে গত এক সপ্তাহ ধরেই দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা চলছিল। এর জেরে বাস্তুচ্যুত হয় ১২টি পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
এনএসআর