ভারতের মধ্যপ্রদেশের বিহারে ব্রহ্মদেব মণ্ডল নামের ৮৪ বছরের এক বৃদ্ধ ১১ ডোজ করোনার টিকা নিয়ে আলোচনায় এসেছেন।
‘বিভ্রান্ত করে’ ১১ ডোজ টিকা নেওয়ায় বিহারের মাধেপুরার কোতোয়ালি থানায় ব্রহ্মদেবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
কলকাতা টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মদেবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ (সরকারি নির্দেশ ভঙ্গ), ৪১৯ (পরিচয় ভাঙিয়ে প্রতারণা) ও ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। সবগুলোই জামিন অযোগ্য ধারা। যদিও বয়সের কারণে জামিন পেতে পারেন ব্রহ্মদেব।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মদেব মণ্ডল অবসরপ্রাপ্ত ডাক বিভাগের একজন কর্মী। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ডোজ টিকা নেন তিনি। পরের মাসে নেন দ্বিতীয় ডোজ। আর ৩০ ডিসেম্বর সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নেন টিকার ১১তম ডোজ। কবে, কোথায় ও কখন টিকা নিয়েছেন, সব ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন সেই বৃদ্ধ।
ব্রহ্মদেব মাধেপুরা জেলার একটি টিকাকেন্দ্রে গত ২ ডিসেম্বর ১২তম ডোজ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কীভাবে ওই বৃদ্ধ এক বছরে এতগুলো ডোজ টিকা নিলেন তা খুবই রহস্যময়।
কেন ১১ ডোজ টিকা নিয়েছেন, জানতে চাইলে ওই বৃদ্ধ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার প্রচুর উপকার হয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ে। সেই কারণেই আমি বারবার ভ্যাকসিন নিয়েছি। ’
ব্রহ্মদেব মণ্ডল বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাতের ব্যথায় আমি হাঁটতেই পারতাম না। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর আমার শরীর সুস্থ হতে শুরু করে। তখন ঠিক করি আরেকটা ডোজ নেব। আমি আমার আধার কার্ড চারবার, ভোটার কার্ড দুবার দেখিয়ে টিকা নিই। এখন একেবারেই ব্যথা নেই।
আরও পড়ুন:
করোনার ১১ ডোজ টিকা নিয়ে বাতের ব্যথা হাওয়া?
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
জেএইচটি