কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি তখন ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট ওপরে, এ সময় ইন্টারকমে একটা আহ্বান শুনলেন ডা. আয়েশা খতিব। তাতে বলা হচ্ছিল, ফ্লাইটে একজন অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন।
তিনি ছুটে যান ওই অন্তঃসত্ত্বার কাছে। উগান্ডায় জন্ম নেওয়া ওই নারী সৌদি আরবে কাজ করেন। ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন। ইচ্ছে ছিল দেশেই সন্তানের জন্ম দেবেন। কিন্তু ফেরার পথে তার গর্ভের সন্তানটি বেরিয়ে আসতে চাইছিল।
আয়েশা বলেন, ওই নারী একটি সিটে শুয়েছিলেন। সবাই তাকে ঘিরে ছিল। আর মায়ের গর্ভে ৩৫ সপ্তাহ থেকে নবজাতকটি পৃথিবীর আলো দেখতে চাইছিল। এ সময় আয়েশাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে আরও দুজন। তাদের একজন নার্স, অপরজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। তাদের চেষ্টায় ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট ওপরে জন্ম হলো একটি মেয়ে শিশুর। আয়েশা জানান, জন্মের পর সদ্যোজাত নবজাতকটি কান্না করছিল। তিনি এবং অপর শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তাকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করেন।
শিশুটির জন্ম হয় গত বছরের ৫ ডিসেম্বর, বুধবার। কিন্তু আয়েশা পেশাগত কাজে কানাডা ও উগান্ডায় এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ছবিগুলো প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে কথা হয় তার। এভাবেই জানা যায় এমন একটি শিশুর গল্প, যার নাম ‘মিরাকল আয়েশা’।
ডা. আয়েশা বলেন, আমি যখন সবাইকে বললাম যে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। এই খবরে পুরো ফ্লাইটে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সবাই হাততালি দিয়ে নতুন শিশুকে স্বাগত জানান। শিশুটি এবং তার মা সুস্থ ছিলেন। আর এরপরই ঘটে সবচেয়ে মজার ঘটনাটি। ওই মা তার সদ্যোজাত সন্তানের নাম রাখলেন ডা. আয়েশার নাম মিলিয়ে, যা শুনে নিজের গলায় থাকা সোনার চেইনটি শিশুটির গলায় পরিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এনএসআর
Is there a doctor on the plane? ??♀️??⚕️Never thought I’d be delivering a baby on a flight! ✈️ @qatarairways Thanks to the airline crew who helped support the birth of this Miracle in the air! Mom and baby are doing well and healthy! #travelmedicine pic.twitter.com/4JuQWfsIDE
— Aisha Khatib, MD (@AishaKhatib) January 13, 2022