কোভিড-১৯-কে ফ্লুর মতো একটি সাধারণ রোগ হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানিয়েছে স্পেন। ইউরোপের প্রথম বড় দেশ হিসেবে টিকা বা মাস্ক ছাড়াই মানুষকে এ রোগের সঙ্গে বাস করার পরামর্শ দিচ্ছে দেশটি।
ধারণাটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং এটা করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে সরকারি কৌশল পুনর্মূল্যায়নে প্রভাবিত করতে পারে।
ব্রিটিশ শিক্ষা সচিব রোববার বিবিসিকে বলেছেন, ব্রিটেন কোভিড-১৯ মহামারিকে সাধারণ রোগ হিসেবে ধরে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের রেকর্ড সংক্রমণ হলেও কম মানুষকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া মৃত্যুর হারও কম। মহামারির বিধিনিষেধ থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য এ বিষয়টি স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজকে প্রভাবিত করেছে।
সানচেজ সোমবার একটি রেডিও সাক্ষাত্কারে বলেন, মহামারি থেকে সাধারণ রোগ হিসেবে কোভিডের বিবর্তন মূল্যায়ন করতে হবে। ইউরোপীয় সরকারগুলোকে এ বিষয়ে ভিন্নধর্মী মূল্যায়নের দিকে যেতে হতে পারে।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিচেল মার্টিনের মতে, ইউরোপে কোভিড হার সবচেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও তার দেশ স্বেচ্ছায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা বজায় রাখবে।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রো জানিয়েছেন, তার সরকার কাউকে টিকা নিতে বাধ্য করবে না।
অনেক দেশ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলি চালু রাখার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনের সময়কালও কমিয়েছে। সর্বশেষ চেক প্রজাতন্ত্র কোয়ারেন্টিনের সময়কাল ৫ দিন করেছে।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেছেন, স্প্যানিশ সরকার গত কয়েক সপ্তাহে একটি নতুন পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যারোলিনা দারিয়াস বিষয়টি তার ইউরোপীয় সমকক্ষদের কাছে তুলে ধরেছেন।
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে স্পেনে প্রায় ৬ লাখ ৯২ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর করোনা রোগীর জন্য হাসপতালে ১৩.৪ শতাংশ শয্যা ব্যবহার করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে দেশটিতে সাপ্তাহিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজারের ওপরে। তখনও হাসপাতালের ১৩.৮ শতাংশ শয্যা কোভিড রোগীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক