ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আর এর মধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন সফরের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন বরিস।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। অপরদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা দাবিগুলোর কোনো সমাধান করেনি। তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ করার সক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া আক্রমণ করলে কোনো পক্ষের জন্যই এটি সুফল বয়ে আনবে না।
রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইউরোপের অন্য দেশগুলোকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বরিস জনসনের মুখপাত্র বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান। তিনি ইউরোপে কোনো ধরনের রক্তপাত চান না।
রাশিয়াকে পিছু হটার প্রয়োজনীয়তা এবং কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে নিতে বরিস জনসন চলতি সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন। ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে ব্রিটেন। তবে যুদ্ধের জন্য দেশটিতে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এনএসআর