ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশটি সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) তিনি দেশটিতে যাবেন।
জানা গেছে, দেশটিতে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে কিয়েভসহ পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এরইমধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনসহ উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তারা বৈঠকে আলোচনা করবেন।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর সক্ষমতা এই মুহূর্তে রাশিয়ার রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে রাশিয়া দাবি করছে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নেই তাদের।
বরিস বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়, তাহলে তার পরিণতি বিপর্যয়কর হবে। কূটনৈতিক উপায়ে সংকট সমাধান ও রক্তপাত এড়াতে রাশিয়াকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছি আমরা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের শাসনব্যবস্থা কীভাবে চলবে, তা নির্ধারণ করার অধিকার দেশটির প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। বন্ধু হিসেবে, গণতান্ত্রিক অংশীদার হিসেবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার পক্ষে যুক্তরাজ্য কাজ করে যাবে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিবাদে সেই বৈঠক জন্ম দিলো আলোচনার। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে আলোচনার জন্য ওই বৈঠক ডেকেছিল যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে তাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
জেডএ