করোনাকালে নিয়ম ভেঙে পার্টি করা নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এমনিতেই প্রবল চাপে আছেন। দলের ভেতরে ও বাইরে তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
বিবিসি, ডয়চে ভেলেসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন জ্যাক ডয়েল, পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা পদত্যাগ করেন। এরপর পদত্যাগ করেন চিফ অব স্টাফ ড্যান রসেনফিল্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল ব্যক্তিগত সহকারী মার্টিন রেনল্ডস।
এদের মধ্যে চিফ অব স্টাফ ড্যান রসেনফিল্ড দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে পদত্যাগ করলেন। জ্যাক ডয়েল ও মার্টিন রেনল্ডসের নাম পার্টিগেটে উঠেছে। মার্টিন রেনল্ডসই ২০২০ সালের মে মাসে ইমেল পাঠিয়ে ‘নিজের মদ নিজে আনো’ পার্টির আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আর পুলিশ যেসব পার্টি নিয়ে তদন্ত করছে, তার একটিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যাক ডয়েল।
তবে বিদায়ী চার সহকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি জানান, ওই চার সহকারী করোনাকালে যে কাজ করেছেন, সরকার ও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।
এদিকে বরিস জনসনের ওপর পদত্যাগের চাপ বেড়েই চলেছে। কনসারভেটিভ পার্টির বেশ কিছু সদস্য চান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুক।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১৭ জন কনসারভেটিভ এমপি জনসনের বিরুদ্ধে দলের কাছে অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন। ৫৪ জন এমপি এ ধরনের চিঠি দিলে দলে নেতৃত্ব নিয়ে ভোট হবে।
বিরোধী লেবার পার্টি ইতোমধ্যে পার্লামেন্টে জনসনের পদত্যাগ দাবি তুলেছে। পার্টিগেট নিয়ে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
এনএসআর