মাস্ক পরবে না, টিকা নেবে না, স্বাস্থ্যবিধিও মানবে না-এটাই দাবি তাদের। আর এই দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কানাডার ট্রাকচালকরা।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাস রোধে দেওয়া সরকারের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ট্রাক চালকদের এই অবস্থানের ফলে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সংসদে দেওয়া বক্তব্যে করোনা রুখতে দেওয়া বিধিনিষেধের পক্ষেও যুক্তি তুলে ধরেন।
অটোয়ার পুলিশ এরইমধ্যে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের চাকরিচ্যুত করার কথাও বলেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত জাস্টিন ট্রুডো
রাজধানী অটোয়া ও যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাকচালকরা। স্থানীয় সময় সোমবার সংসদে ট্রুডো বলেন, ‘সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া, অবৈধ বিক্ষোভ; অগ্রহণযোগ্য। এতে ব্যবসা ও উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিক্ষোভ বন্ধে আমাদের সবকিছু করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা আমাদের অর্থনীতি, গণতন্ত্র, নাগরিকদের জীবযাপনকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ’
কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (সিবিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার ট্রাকচালক এবং অন্যান্য বিক্ষোভকারী শনিবার রাজধানী শহরে একত্রিত হয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ম্যান্ডেট এবং অন্যান্য জনস্বাস্থ্যের অন্যান্য বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে রাজধানী ছাড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
ট্রাকচালকদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্থল সীমান্ত পেরিয়ে কানাডায় ঢুকছে, তাদের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। কানাডা সরকারের এই সিদ্ধান্ত ট্রাকচালকদের ক্ষুব্ধ করে। ট্রাকচালকরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়।
কানাডা সীমান্তের এপারে-ওপারে চলাচল করেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ট্রাকচালক। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। কানাডার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও টিকা নেওয়ার হার এরকমই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এসআইএস