কলেজে হিজাব নিষিদ্ধের পর ব্যাপক উত্তেজনা চলছে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে। এ বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে।
মামলার তৃতীয় দিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থি বলেছেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ থাকবে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে হাইকোর্টে আবার শুনানি চলবে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। হিজাববিরোধী এই অবস্থান থেকে সরে আসতে ভারতকে আহ্বান জানায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: মুসকানের ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি, যা বললেন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্ণাটকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নেতৃত্বে হিজাববিরোধী তৎপরতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ইসলামাবাদ। যারা মুসলিম নারীদের হয়রানি ও নির্যাতন করছে, তাদের বিচারের পাশাপাশি নারীদের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রশংসায় ভাসছেন মুসকান, ৫ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি কর্ণাটক, আসাম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, গুরুগ্রাম ও দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে কর্ণাটকের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। মুসলিম শিক্ষার্থীরা রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভে বাধা দেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাস করতে না দেওয়া ভয়াবহ ঘটনা: মালালা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোরকা-হিজাব নিষিদ্ধ করার পক্ষে ক্ষমতাসীন বিজেপি। তারা এ বিষয়ে খোলামেলা কথাও বলেছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ভোটগ্রহণের আগে মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ বাড়াতেই হিজাব ইস্যু সামনে আনা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
আরও পড়ুন: কলেজে আপাতত হিজাব নিষিদ্ধ: কর্ণাটকের হাইকোর্ট
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
জেএইচটি