করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্ব এখন উদ্বেগে রয়েছে। ভাইরাসটির নতুন ধরনের প্রতিকার নিয়ে যখন বেসামাল অবস্থা, তখন ইঁদুরবাহিত নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাসা নামের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাসা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেসব উপসর্গ দেখা যায়, তার সঙ্গে করোনা উপসর্গের অনেকটাই মিল রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্রিটেনে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থার ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসটি ছড়ায় ইঁদুর থেকে। লাসায় আক্রান্ত ইঁদুরের মল-মূত্র কোনো খাবারে বা বাড়িতে ব্যবহৃত জিনিসপত্রে মিশে গেলে সেটি ব্যবহারে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।
লাসা ভাইরাসের কিছু উপসর্গের সঙ্গে করোনার উপসর্গের মিল রয়েছে। লাসায় আক্রান্তদের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথা ব্যথা, বমিভাব ও মুখ-নাক থেকে রক্তক্ষরণ।
এই ভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকায় ইঁদুরদের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সেটি বেনিন, ঘানা, গিনি, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন, টোগো এবং নাইজেরিয়াতে রয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাসা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও করোনার মতো একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত যদি সংক্রমণ ঠেকানোর মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকে।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ যদি তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসাও সম্ভব। তবে আশার কথা হলো, ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মৃত্যুহার ১ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, লাসায় আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচজন আক্রান্তের মধ্যে একজনের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন কিডনি বা লিভারের ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
জেএইচটি