যেকোনো মুহূর্তে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাতে পারে- এমন ঘোষণা দিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই ঘোষণা দেন।
ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে যখন রাশিয়া এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন দূতাবাস বন্ধের এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী লাভিভ শহরে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দূতাবাসের সামান্য কিছু স্টাফ কাজ করবেন। কিয়েভ হচ্ছে রুশ সীমান্তের কাছে এবং লাভিভ শহর হল পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে। কিয়েভ থেকে লাভিভ শহর ৩০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত।
এদিকে কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস ছাড়ার আগে কর্মীরা কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ধ্বংস করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গোপন তথ্য-উপাত্ত যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেন সরকার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকবে এবং উত্তেজনা কমানোর ব্যাপারে আমেরিকা ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
এদিকে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি আমরা ঐক্যের দিন হিসেবে পালন করবো। এই দিনে আমরা আমাদের জাতীয় পতাকা ওড়াবো, হলুদ এবং নীল রংয়ের ব্যানার পরবো এবং পুরো বিশ্বের সামনে আমাদের ঐক্য তুলে ধরবো।
রাশিয়ার সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বলে আসছে, হামলা চালিয়ে ইউক্রেন দখলে নিতে পারে মস্কো। তবে ক্রেমলিন বারবার এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তারা এটাকে সামরিক মহড়া হিসেবে উল্লেখ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এসআইএস