ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। কিছু কিছু অঞ্চল থেকে সৈন্য মূল ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ সংলাপে’ বসতে চেয়েছে বিশ্বের সাতটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জোট জি৭।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
জি৭ জোটের সাতটি দেশ হলো- জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
স্ব-ঘোষিত ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিক বলেছে, শুক্রবার ভোরে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত গ্রাম পেট্রিভস্কে লক্ষ্য করে গোলা বর্ষণ করা হয়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, স্ব-ঘোষিত লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক দাবি করেছে যে, সেখানে মর্টার বিস্ফোরণের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কামানের গোলা, গ্রেনেড ও মেশিনগান ব্যবহার করে চার দফায় রুশপন্থি যোদ্ধাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়।
এরপরই যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তোলে যে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে ‘অজুহাত’ খুঁজছে রাশিয়া।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া জানায়, সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার পর দেশটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা সরিয়ে নিচ্ছে। বুধবারও (১৬ ফেব্রুয়ারি) ক্রিমিয়ায় মহড়া শেষ করা কিছু সেনা ইউনিট গ্যারিসনে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়।
তবে পশ্চিমা নেতারা বলছেন, তারা রাশিয়ার এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখেননি।
জার্মান চ্যান্সেলর দপ্তরের সূত্র অনুসারে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ ফোনালাপে এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন যে, রাশিয়াকে অবশ্যই সামরিক তৎপরতা হ্রাসে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
জেএইচটি