ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েনের পর থেকেই উত্তেজনা যেন থামছেই না। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা বলে আসছে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়া একটি অজুহাত খুঁজছে।
এই সংকটের শুরু থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলে আসছেন, ইউক্রেন যেন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ না দেয়। এ বিষয়ে পশ্চিমাদের থেকেও প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন তিনি।
ন্যাটো জোটের প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ক্রেমলিন জানে ন্যাটো কখনোই তাদের দাবি পূরণ করতে পারবে না।
মিউনিখ সম্মেলনে ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে রাশিয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এই পরিস্থিতি সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এরপর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিনতাবাদীদের হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে ডোনেটস্ক ও লুহানস্কের নেতারা একটি পূর্ণ সামরিক সংহতি ঘোষণা করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমারা আশঙ্কা করছে, ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়া এসব ঘটনা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক মহড়া তদারকি করবেন।
এদিকে, চলমান ইস্যুতে সমর্থন পেতে ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন:
‘প্রায় ২ লাখ রুশ সেনা আছে ইউক্রেন সীমান্তে’
রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাবেই: যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসতে চায় জি৭
ইউক্রেনে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
জেএইচটি