ইউক্রেন বিশেষ সামরিক অভিযান চালালেও দেশটি দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অধিবেশন চলাকালীন মস্কোর স্থানীয় প্রতিনিধি ভাসিলি নেবেনজিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে গত আট বছর ধরে কিয়েভে যেসব মানুষ সরকারের নিপীড়ন ও গণহত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের রক্ষা করতেই এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ইউক্রেনে ‘নব্যনাৎসীবাদের উত্থান’ ঠেকানো এবং দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ করাটাও অভিযানের একটি কারণ।
নেবেনজিয়া আরও বলেন, বছরের পর বছর ধরে ইউক্রেনে রক্তপাত হচ্ছে। রাশিয়া এই রক্তপাত বন্ধ করতে চায়। একইসঙ্গে যারা এই রক্তপাত ঘটানোর সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে চায়। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি রাশিয়ার নাগরিক হয়, তাকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি।
সেখানে তিনি রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, জাতীয় প্রয়োজনে আবারও পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ করবে ইউক্রেন।
সোমবারের বক্তব্যে বিষয়টি টেনে আনেন নেবেনজিয়া। তিনি বলেন, কেউ যদি তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেই রাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে এবার যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য মূলত দায়ী ইউক্রেন। কারণ, বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও কিয়েভ মিনস্ক চুক্তির কোনো শর্ত বাস্তবায়ন করেনি।
দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশাপাশি চারদিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২২
এনএসআর