কৃষ্ণ সাগরের ছোট্ট দ্বীপ জিমিনি বা স্নেক আইল্যান্ডে দায়িত্ব পালনকালে ১৩ জন ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল সেটি সত্য নয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের নৌবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের সামনে আত্মসমর্পণ না করা ইউক্রেনের ১৩ জন সেনা বেঁচে আছেন। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে নৌবাহিনী জানায়, ‘আমাদের ভাইদের বেঁচে থাকা এবং ভালো থাকার খবর জানতে পেরে আমরা দারুণ খুশি। ’
এ খবর স্বস্তি নিয়ে এসেছে ইউক্রেনীয় নাগরিকদের জন্য। বর্তমানে দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে এক একটি দিন পার করছেন তারা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর একটি খবরে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষুদ্র ওই দ্বীপটির দখল নিতে যায় এবং সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু দ্বীপরক্ষায় নিয়োজিত সেনারা রুশদের কাছে আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানায় এবং নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে।
এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করে তাদের মরণোত্তর সম্মাননায় ভূষিত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কিন্তু রোববার ইউক্রেনের নৌবাহিনী দ্বীপে ওই সেনাদের বেঁচে থাকার আশার খবর দেয়। বলা হয়, ফেসবুকে একটি পোস্টের ভিত্তিতে তারা ধারণা করছেন, দ্বীপে সেনাদের ওই ইউনিটটি বেঁচে আছে। এরপর সোমবার নৌবাহিনী তাদের বেঁচে থাকার খবর নিশ্চিত করে।
তাদের মতে, রুশ বাহিনী দ্বীপটির সব অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই চেষ্টা করেও এখনো সেনাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: স্নেক আইল্যান্ডে নিহত সেনাদের প্রশংসা ইউক্রেনে
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
এনএসআর