ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে ‘মানবিক করিডর’ দেবে রাশিয়া 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
ইউক্রেনে ‘মানবিক করিডর’ দেবে রাশিয়া  দ্বিতীয় দফার আলোচনায় উপস্থিত দুই দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা

রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে শুক্রবার (৪ মার্চ) নবম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় অনেকেই আটকে পড়েছেন।

তাই যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ‘শান্তি আলোচনায়’ বসে ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধিদল। ওই আলোচনায় কিয়েভ আশানুরূপ ফল পায়নি। যুদ্ধবিরতির বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বা তাদের কাছে সহায়তা পাঠাতে ‘মানবিক করিডর’ দিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়ায়। দুই পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা হয় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।  

মানবিক করিডরের বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা বেসামরিক লোকদের দ্রুত সরিয়ে নিতে পারবে কিয়েভ। একই সঙ্গে তাদের কাছে খাদ্য-চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে। রুশ সেনারা ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চল ঘিরে ফেলার কারণে কয়েক দিন ধরেই সেই সংকট প্রকট হয়।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক জানান, দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় ফলাফল এখনো আসেনি। শুধু মানবিক করিডর খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেন, সামরিক সংঘর্ষের অঞ্চলে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের বাঁচানোর বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পড়লে বেসামরিক লোকরা যেন মানবিক করিডর ব্যবহার করেন, সে বিষয়ে রাশিয়া আহ্বান জানিয়েছে।  

এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পঞ্চম দিনে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শান্তি আলোচনায় বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে বেলারুশের গোমেল এলাকায় ওই বৈঠক চলে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী হয়। কিন্তু প্রথম দফার ওই বৈঠকে কোনো বোঝাপড়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।