যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে রাশিয়া যেন তার সৈন্যদের সামনের দিকে অগ্রসর না করে, সে ব্যাপারে হুঁশিয়ার করেছেন ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে শরণার্থী যাতায়াতের করিডোর বরাবর রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এমন খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন সরকার এর সত্যতা ‘যাচাই’ করে দেখছে।
তিনি বলেন, আমরা এই পথ ব্যবহার করছি নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোকজনকে বের করে আনতে এবং ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে। সারা বিশ্ব এদিকে তাকিয়ে রয়েছে।
ইরিনা ভেরেশচুক জানান, আন্তর্জাতিক রেডক্রস এই যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছে এবং বেসামরিক লোকজনকে বের আনতে তারাই সামনের কাতারে থাকবে।
ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সকাল নয়টা থেকে চারটা পর্যন্ত দুই শহর মারিওপোল এবং ভোলনোভাখায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বেলারুশে দ্বিতীয় দফার শান্তি বৈঠকের পরে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের বেসামরিক বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে একমত হয়েছিল মস্কো। তারই ভিত্তিতে দুই শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু দশক দিন পর্যন্ত অন্তত ১২ লাখ মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
এমজেএফ/এমজেএফ