সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার সঙ্গে দুই দফা ‘শান্তি আলোচনায়’ বসেছিল ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। কিন্তু এই বৈঠকে তেমন কোনো সমাধান পায়নি কিয়েভ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে তৃতীয় দফা অলোচনার জন্য রুশ প্রতিনিধিদল মস্কো থেকে বেলারুশে রওয়ানা হয়েছে বলে স্পুটনিক বেলারুশ সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে খবর দিচ্ছে রয়টর্স বার্তা সংস্থা। এই আলোচনা যুদ্ধ ঠেকাতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইউক্রেনের যেসব জায়গায় যুদ্ধ চলছে, সেখান থেকে বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার সুযোগ তৈরির জন্য ‘মানবিক করিডর’ খোলার ব্যাপারে গত সপ্তাহের বৈঠকে মীমাংসা হয়। কিন্তু সেই করিডোর নিশ্চিত করতে যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দরকার, তা পালন না করার জন্য দুই পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছে।
রাশিয়া বলছে, তারা মোট ছয়টি মানবিক করিডর খুলেছে। কিন্তু ইউক্রেন সরকার অভিযোগ করছে, এসব করিডরের সবই রাশিয়া ও বেলারুশমুখী।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ১২ দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই যুদ্ধে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে বেসামরিক লোকজনও অংশ নেওয়ায় এটা এখন জনযুদ্ধে রূপ নিয়েছে।
এই যুদ্ধ বন্ধ করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বারবার আলোচনায় বসতে বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কি। তবে যুদ্ধ ঠেকাতে ইউক্রেনকে আরও গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিতে বলেন পুতিন।
এই যুদ্ধ থামাতে রোববার ‘দুটি শর্ত’ জুড়ে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা জানান পুতিন। ক্রেমলিন সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কোর দাবি মেনে নিলে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করলেই কেবল রাশিয়া পিছু হটতে পারে। এছাড়া এই যুদ্ধ থামবে না।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। অভিযানের পঞ্চম দিনে দুই দেশের প্রতিনিধিদল যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনায় বসেছে। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে বেলারুশের গোমেল এলাকায় এ বৈঠক চলছে।
ওই বৈঠকে আশানুরূপ ফল না পেয়ে যুদ্ধের অষ্টম দিন ৩ মার্চ যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে দ্বিতীয় দফায় ‘শান্তি আলোচনায়’ বসে ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধিদল। ওই আলোচনায়ও তেমন ফল পায়নি কিয়েভ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২২
জেএইচটি