ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রুশ সেনারা।
রুশ আগ্রাসনে বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধের ১৬তম দিনে জাতিসংঘ জানাচ্ছে, ইউক্রেনের পাশের দেশগুলোতে অন্তত ২৫ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। এই সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে।
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে রাশিয়া। পশ্চিমাদের এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে রুশ অর্থনীতিতে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা নানা নিষেধাজ্ঞায় এরই মধ্যে রুশ অর্থনীতি প্রভাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন লন্ডন বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ লিন্ডা ইউয়েহ।
লিন্ডা ইউয়েহ বলেন, রাশিয়ায় সুদের হার বেড়ে এর মধ্যে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যার ফলে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কেনা বন্ধ করার যে পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র, তা বাস্তবায়িত হলেও রুশ অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, রুশ অর্থনীতি ১২ শতাংশ সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা রাশিয়ার মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর কঠোর আর্থিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর পরিণতি সব রাশিয়ানরা ভোগ করবে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি অবশ্যই ঘটবে, আপনি (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) রুশ নাগরিকদের কাছে ঘৃণিত হবেন। রুশ জনগণের সঙ্গে আপনি অনেক বছর ধরে প্রতারণা করছেন। এখন তাদের অর্থে টান পড়েছে। রাশিয়ার শিশুরাও ভবিষ্যতে আপনার এই প্রতারণার পরিণতি ভোগ করবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
জেএইচটি