ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

শুধু মারিওপোলেই ১৫৮২ বেসামরিক লোক নিহত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
শুধু মারিওপোলেই ১৫৮২ বেসামরিক লোক নিহত! রাশিয়ার গোলাবর্ষণে মারিওপোলের একটি ভবনের অবস্থা

ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন।

দেশটির রাজধানী কিয়েভ ও গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। সেখানে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে।  

৪ লাখ মানুষের বসবাস মারিওপোলে। বেশ কয়েকদিন ধরে এ শহর অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। শহরটিতে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার হামলার কারণে সেখান থেকে বেসামরিক লোকজন অন্য জায়গায় সরেও যেতে পারছেন না। এরই মধ্যে অবরুদ্ধ এ শহরে রাশিয়ার চালানো ধ্বংসযজ্ঞের ছবি সামনে এসেছে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিওপোল দখলে নেওয়ার পর ১২ দিনে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে অন্তত ১ হাজার ৫৮২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। সিটি কাউন্সিল শুক্রবার একটি অনলাইন বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। তবে দ্য গার্ডিয়ান হতাহতের পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারেনি।

ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেন, মারিওপোলসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ‘মানবিক করিডর’ শনিবার (১২ মার্চ) চালু থাকবে। সেখান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া যাবে।  

এক ভিডিও বার্তায় ভেরেশচুক বলেন, কিয়েভ ও সুমি অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া যেসব এলাকায় যুদ্ধ চলছে, সেখান থেকেও বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।  

মারিওপোলে এখন বিদ্যুৎ ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন। সেখানকার মানুষরা খাদ্য ও পানির সংকটে রয়েছেন। এর মধ্যে সেখানে একাধিকবার ‘মানবিক করিডর’ চালু করার চেষ্টা করেও ইউক্রেন প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।  

তবে শনিবার ভেরেশচুক বলেন, আমি আশা করি দিনটি ভালো যাবে। সমস্ত পরিকল্পিত রুট উন্মুক্ত থাকবে এবং রাশিয়া যুদ্ধবিরতির যে ঘোষণা দিয়েছে, সে বিষয়ে দায়বদ্ধতা পূরণ করবে।

এর আগে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর উপদেষ্টা ভাদিম ডেনিসেনকো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছিলেন যে, শনিবার ইউক্রেনে মানবিক করিডর খুলতে পারে।

দ্য মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি বলেছেন, এই যুদ্ধে ১২ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, এই সংখ্যা দুই থেকে চার হাজার। যদিও মস্কো গত সপ্তাহে জানায়, যুদ্ধে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে।  

৩৪৯১টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি 
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৯১টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়া। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ।

কোনাশেনকভ বলেছেন, রুশ বাহিনী ‘বিস্তৃত ফ্রন্টে’ ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে তার বক্তব্য যাচাই করতে পারেনি।  

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর শনিবার ১৭ দিনের মতো যুদ্ধ চলছে। রুশ সেনাদের ঠেকাতে সাধ্যমতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এই লড়াইয়ে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেসামরিক লোকজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।