ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের কাছ থেকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। এমন দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
সোমবার (১৪ মার্চ) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাহায্য চাওয়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গুর সঙ্গে কথা বলে সিএনএন। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো এমনটি শুনিনি’।
ইউক্রেন পরিস্থিতি ‘প্রকৃতপক্ষে উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে লিউ বলেন, ‘ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে চীন, আগামীতেও সেটা চালিয়ে যাবে’।
লিউ আরও বলেন, ‘এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে বাড়তে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না দেওয়া। ...একটি বিশাল মানবিক সংকট ঠেকানোর আহ্বান প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছে চীন’।
এ বিষয়ে সিএনএন জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে রুশ দূতাবাস থেকে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
ফিনান্সিয়াল টাইমস (এফটি) এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরেও এই সহায়তার বিষয়টি জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এফটি জানায়, আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চীনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছে। রাশিয়া কী ধরনের সরঞ্জাম চাইছে, তা উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীন সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে—এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনেও মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাশিয়া নিজের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব প্রশমিত করতে অর্থনৈতিক সহায়তাও চাইছে।
যদিও ১৯ দিন ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চীন নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে তুলে ধরেছে। তবে রুশ আক্রমণের নিন্দা করেনি চীন।
সোমবার (১৪ মার্চ) মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান রোমে চীনা পররাষ্ট্র নীতির শীর্ষ কর্মকর্তা ইয়াং জিচির সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। সোমবার ১৯ দিনের মতো রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
জেএইচটি