ইউক্রেনে রুশ হামলায় ‘মানবিক সংকট’ দেখা দিয়েছে। দেশটির অনেক শহরে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সংকটে পড়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি স্থানীয় সময় রোববার রাতে জানান, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার পোল্যান্ড সফর করবেন বাইডেন। সেখানে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে তিনি ইউক্রেনে যাবেন না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন থেকে ২০ লাখেরও বেশি শরণার্থী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে পোলিশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে সমর্থনের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটো মিত্র, জি-৭ নেতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ব্রাসেলসে বৈঠকের একদিন পর বাইডেনের পোল্যান্ড সফর শুরু হবে।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, বাইডেন সোমবার সকাল ১১টায় ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির ওলাফ শোলৎজ, ইতালির মারিও দ্রাঘি এবং যুক্তরাজ্যের বরিস জনসনের সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে তাদের সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি টেলি আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে অন্তত ৩২ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকটে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে ২০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইউরোপের অন্য দেশে চলে গেছে। তবে ‘অধিকাংশই এখনো পোল্যান্ডে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের ২৬ দিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। এই হামলায় বহু হতাহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।
এই যুদ্ধ ঠেকাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বেশ কয়েকবার ‘শান্তি আলোচনা’ হয়েছে। বিশ্ব নেতারাও নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেই আলোচনা ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
জেএইচটি