ইউক্রেনের যুদ্ধে সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে পারে? রুশ সৈন্যদের সম্ভাব্য কৌশল এখন কী হবে? কোথায় গিয়ে তারা থামবে? সাধারণ মানুষজনের মনে এসব প্রশ্ন ঘুরছে।
ওই প্রশ্নের কিছু উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লন্ডনে শীর্ষ একটি গবেষণা সংস্থা রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের গবেষক ড. জ্যাক ওয়াটলিং।
জ্যাক ওয়াটলিং বলেন, ‘সেনাবাহিনী যখন যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হতে থাকে, তখন তারা জ্বালানি খরচ করে, গোলা-গুলি খরচ করে এবং সংশ্লিষ্ট অনেক কিছু খরচ করতে থাকে...। যতক্ষণ তাদের হাতে এসব সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তারা অগ্রসর হতেই থাকে। কিন্তু একটা সময় পর যখন সরঞ্জামে টান পড়তে শুরু করে এবং অতিরিক্ত চালানের প্রয়োজন হয়, তখন তাদের থেমে গিয়ে সরবরাহের জন্য অপেক্ষা করতে হয়’।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু তখন তাদের কাছে বাড়তি যে চালান আসতে থাকে তার পরিমাণ থাকে কম। তা দিয়ে সৈন্যরা আরও অল্প কিছুদূর অগ্রসর হতে পারে। অভিযানের গতি তখন কমে যায়। সুতরাং আমরা এখন ইউক্রেনে যেটা দেখছি তা হলো প্রথম দিকে রুশরা যেভাবে একসঙ্গে কয়েকটি ফ্রন্টে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল তা কমিয়ে তারা এখন একটি সময়ে একটি ফ্রন্টকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তারা কিয়েভের চারদিকে অবস্থান শক্ত করতে শুরু করেছে। খারকিভের ওপর হামলা বাড়িয়েছে। কিন্তু মারিওপোলের ওপর এখন তাদের প্রধান নজর’।
ড. ওয়াটলিং বলেন, মারিওপোলের পতন হলেই রাশিয়ার প্রধান মনোযোগ অন্য কোনো স্থানের ওপর গিয়ে পড়বে। সুতরাং এখন থেকে আমরা হয়তো রুশদের কাছ থেকে এক সঙ্গে অনেক জায়গায় সমান মাত্রায় হামলা চালানোর বদলে একটি সময়ে একটি জায়গার ওপর গুরুত্ব দিতে দেখব। রুশরা হয়তো একবারে একটি শহরকে পর্যুদস্ত করে পরেরটির দিকে এগুবে। তার মতে, যুদ্ধের গতি এখন মন্থর হয়ে পড়ছে’।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
জেএইচটি