আফগান নারীরা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো বিমানে চড়তে পারবেন না। দেশটিতে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান।
রোববার (২৭ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে, শনিবার এই নিষেধাজ্ঞার কথা একটি চিঠিতে এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোকে জানিয়েছে পূণ্যের প্রচার ও পাপ দমন মন্ত্রণালয়।
দেশটিতে মেয়েদের জন্য স্কুল চালু করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এই পদক্ষেপের কথা সামনে আসলো। তালেবানের এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিদেশি সরকারগুলো। এ কারণে শুক্রবার তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈঠক বাতিল করেছে।
জানা গেছে, যেসব নারী রোববার ও সোমবার একা ভ্রমণের জন্য বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছেন তাদের বিমানযাত্রার অনুমোদন দেওয়া হবে। টিকিট থাকলেও শনিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে কয়েকজন নারীকে বোর্ডিং করতে দেওয়া হয়নি।
তালেবান দাবি করে আসছে, ১৯৯৬-২০০১ সালের তুলনায় তারা অনেক বদলে গেছে। ওই সময় পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীরা শিক্ষা, কাজ বা বাড়ির বাইরে যেতে পারতেন না। তারা বলছে, ইসলামী শরিয়াহ অনুসারে তারা নারীদের অধিকার দিচ্ছে।
তবে মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বন্ধ, নারীদের কাজে যোগদানে বিভিন্ন বিধিনিষেধ এবং দীর্ঘ বিমানযাত্রায় পুরুষ অভিভাবক বাধ্যতামূলক করায় আফগান নারী ও মানবাধিকার সংগঠন সমালোচনা করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নেয় তালেবান। এরপর ৩১ আগস্ট টানা ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত দেশটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। এরপর দেশের বিচার ব্যবস্থা নিজেদের দখলে নেয় তালেবান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জেডএ