পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ প্রস্তাবটি তুলে ধরেন।
শাহবাজ শরিফ প্রস্তাবটি তোলার পর এর পক্ষে থাকা এমপিদের দাঁড়াতে বলেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। ১৫৫ জনেরও বেশি আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি উত্থাপনের পক্ষে ছিলেন। সদস্যদের সংখ্যা গণনা শেষে অনাস্থা প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবটি উত্থাপনের পরে আগামী ৩১ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা দেন ডেপুটি স্পিকার।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অধিবেশনটি শুরু হয় এবং পিটিআই এমএনএ খেয়াল জামানের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
ক্ষমতাসীন পিটিআই’র শাহ মাহমুদ কুরেশি, শিরিন মাজারি, আসাদ উমর ও আলি মুহাম্মদ খান এই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের ড. ফাহমিদা মির্জাও উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধী দল থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে উপস্থিত এমপিদের ২০ শতাংশের সমর্থন পেলেই প্রস্তাবটি ভোটাভুটির জন্য গৃহীত হয়। তবে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এ নিয়ে ভোটাভুটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক ফিগার হলো ১৭২। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই’র সদস্য সংখ্যা ১৫৫। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৭৯।
সম্প্রতি নিজ দলের বেশ কয়েকজন সদস্য ইমরানের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। এ কারণে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকটা অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়েছেন ইমরান খান।
সূত্র: দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জেএইচটি