পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়েছে। সোমবার (২৮ মার্চ) অধিবেশন শুরুর পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ প্রস্তাবটি তুলে ধরেন।
পার্লামেন্টে বিরোধী দলের অনাস্থা প্রস্তাবের মধ্যে ইমরান খান যখন সংকটে পড়েছেন, তখন অনেক সেলিব্রেটি তার পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত তুলে ধরছেন।
পাকিস্তানের দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ মার্চ বিরোধী দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। এরপরই অনেক সেলিব্রিটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে নিজেদের মতামত শেয়ার করেন।
গত ২৭ মার্চ ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত পিটিআই’র মেগা র্যালিতে উপস্থিত হয়ে ইমরানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন অভিনেতা হারুন শাহিদ ও আহমেদ আলি বাট।
অভিনেতা আদনান সিদ্দিকী টুইটারে ইমরান খান ‘জননেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের ভালোবাসাই তার প্রমাণ। যারা ‘নোংরা রাজনীতি’ করছেন তাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ইমরান খানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে নিয়ে লেখুন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে টুইট করেছেন অভিনেত্রী মাহিরা খানও। অভিনেতা হুমায়ূন সাঈদ বলেন, তিনি ক্রিকেট জীবন থেকেই ইমরানের ভক্ত। তিনি এখনো ‘তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন’। আদনান সিদ্দিকির মতো সাঈদও চান যে, ইমরান খান তার মেয়াদ শেষ করার সুযোগ দেওয়া হোক।
গায়ক বেলাল মাকসুদ বিশ্বাস করেন, আরও কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য পাকিস্তানে ইমরান খানকে প্রয়োজন।
অভিনেত্রী সাবা কমর প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সমর্থনে টুইট করে বলেন, ‘এটা একজন ব্যক্তির জন্য নয়, পুরো পাকিস্তানের বিষয়’।
ললিউড তারকা শান শাহিদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারেন কেবল একজন নেতাই’।
অভিনেতা আইমান খান ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করে ‘দুর্নীতিকে না বলুন’ হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন। পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি’।
অভিনেতা মুনিব বাট তার স্ত্রী আইমানের পোস্টটি ইনস্টাগ্রামে একই রকম ক্যাপশন দিয়ে শেয়ার করেছেন। অভিনেতা ও উপস্থাপক সামিনা পীরজাদাও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে উপস্থিত এমপিদের ২০ শতাংশের সমর্থন পেলেই প্রস্তাবটি ভোটাভুটির জন্য গৃহীত হয়। তবে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এ নিয়ে ভোটাভুটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক ফিগার হলো ১৭২। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই’র সদস্য সংখ্যা ১৫৫। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৭৯।
সম্প্রতি নিজ দলের বেশ কয়েকজন সদস্য ইমরানের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। এ কারণে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকটা অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়েছেন ইমরান খান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জেএইচটি
Have been a fan of @ImranKhanPTI since he was a sportsman and still an admirer of his leadership. I wish and pray that he completes his tenure. May Allah bless him #AmarBilMaroof @FaisalJavedKhan @fawadchaudhry pic.twitter.com/NIhqqDtg0k
— Humayun Saeed (@iamhumayunsaeed) March 26, 2022