পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী দল। এতে অনেকটাই চাপে পড়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান মিত্রজোট মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) অবস্থান পরিবর্তন অনেকটাই কোণঠাসা করেছে ইমরানকে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডনের প্রতিবেদেন বলা হয়, বুধবার (৩০ মার্চ) এমকিউএম-পি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আগে তারা বিরোধী দলে যোগ দিচ্ছে। ওই ঘোষণার ফলে বেকায়দায় পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
২৮ মার্চ পাকিস্তান সংসদের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ। এরপর বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত সভা মুলতবি ঘোষণা করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক হবে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব ওঠার পর ৭ দিনের মধ্যে ভোটাভুটি বাধ্যতামূলক। সেই সময়সীমা মেনেই আগামী রোববার (৩ এপ্রিল) ভোটাভুটির দিন ধার্য হয়েছে।
৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক ফিগার হলো ১৭২। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই’র সদস্য সংখ্যা ১৫৫। মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৭৯।
সম্প্রতি নিজ দলের বেশ কয়েকজন সদস্য ইমরানের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। ইমরান সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) ৭ জন এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) ৫ সদস্য রয়েছেন। আর গত রোববার সমর্থন প্রত্যাহারকারী জামহুরি ওয়াতন পার্টির রয়েছেন এক সদস্য।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিজের দল ও জোটসঙ্গীদের মধ্যে ফাটল ধরায় অনেকটা অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়েছেন ইমরান খান। সামনে ঠিক কী ঘটতে যাচ্ছে, তা এখনই কেউ বলতে পারছেন না। ইমরান তার মেয়াদ শেষ করতে পারবেন, নাকি তার আগেই তাকে বিদায় নিতে হবে সেটা ৩ মার্চের পরই হয়তো জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
জেএইচটি