অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে শ্রীলঙ্কায়। এ নিয়ে দেশটির সাধারণ জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনের বাইরে চলতে থাকা বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেওয়ার পরে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গোতাবায়ার বাসভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তায় একটি বাসে আগুন লাগানোর আগে বিক্ষোভকারীরা, একটি পাঁচিল ভেঙে দেয় এবং পুলিশের দিকে ইট ছোঁড়ে। বিক্ষোভকারীরা এসময় শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর একটি বাস ও একটি জিপে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে জ্বালানির ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দেশটিতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে দৈনিক ১০-১২ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রশাসন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর শুরু থেকেই দেশটির মানুষ ৯২ শতাংশ পেট্রোল ও ৭৬ শতাংশ ডিজেল বেশি দাম দিয়ে কিনেছে। কিন্তু, দেশটিতে এখন তেল ও কয়লার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর্থিক সংকট থাকায় এ দুটি জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না দেশটির সরকার।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভের করে শ্রীলঙ্কা। অর্থনীতিতে কখনও খারাপ হয়নি দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি। গৃহযুদ্ধের সময় অত্যাধিক সামরিকখাতে ব্যয় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটন শিল্প প্রায় স্থবির হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়েছে বিদেশ থেকে আসা আয়ের ওপর।
এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছে লঙ্কান সরকার ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২২
এসআইএস