পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর আগে এই অঞ্চলের স্বশাসিত দুটি জায়গাকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল তারা।
গত মঙ্গলবার তুরস্কে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। সেখানে রাশিয়া জানায়, রাজধানী কিয়েভসহ উত্তরাঞ্চলের আরো কিছু শহর থেকে ক্রমশ সেনা সরিয়ে নেবে তারা। এরপর ধীরে হলেও রাশিয়ার সেনারা পশ্চিম ইউক্রেন থেকে সরতে শুরু করেছে। যদিও পেন্টাগনের আশঙ্কা, এটা রাশিয়ার ‘কৌশল’ হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউক্রেনে নতুন করে সেনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে ডনবাস অঞ্চলটি কি রাশিয়া নিজেদের দখলে নিয়ে নিতে চাইছে?
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের সময় এই অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের তীব্র লড়াই হয়েছিল। বস্তুত অনেকদিন ধরেই সেখানে রুশ সমর্থনপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাত চলছে।
আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগে ওই অঞ্চলের দোনেস্ক ও লুহানস্ক নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। তাদের সমর্থন দেয় রাশিয়া। এমনকি ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর একাংশ রাশিয়ার সঙ্গে মিশেও যেতে চায়।
তাই সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের ধারণা, এবার ওই অঞ্চলগুলো রাশিয়া নিজেদের কব্জায় নিতে চাইছে।
পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, রাশিয়া দ্রুত ওই অঞ্চল নিজেদের দখলে নিতে প্রচুর সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেন সহজে নিজেদের জায়গা ছাড়বে না। ফলে খুব দ্রুত এই লড়াইয়ের মীমাংসা হবে না। যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
>>>আরও পড়ুন: রুশদের ছাড় দিতে রাজি নয় ইউক্রেনীয়রা
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২২
এনএসআর