পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, তাকে হত্যা করা হতে পারে। তার এমন কথা পাকিস্তানের রাজনৈতিক আবহাওয়াকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান দাবি করেন, তার জীবন বিপন্ন। বিশ্বস্ত এক সূত্রে এমন খবর পেয়েছেন তিনি। তবে সেই ভয়ে তিনি পিছপা হবেন না।
এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের জন্য যত দূর লড়াই করতে হয় করব। এজন্য আমার প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও ভয় পাই না।
ইমরান আরও জানান, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তার সামনে তিনটি পথ বেছে দেওয়া হয়েছে। আর সেই পথ বেছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠান (পাক সেনা)। এরমধ্যে একটি হলো আস্থাভোট, দ্বিতীয়টি দ্রুত নির্বাচন এবং তৃতীয় পথ ইস্তফা। এই তিন পথের মধ্যে প্রথমটি রোববার।
অর্থাৎ ওইদিন আস্থাভোটে ইমরানকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। ফলাফল স্রোতের প্রতিকূলে হলে দ্বিতীয় পথটি বেছে নেবেন, দ্রুত নির্বাচন।
তিনি বলেন, আমার প্রাণহানির আশঙ্কা তো আছেই, সেই সঙ্গে বিরোধীরাও আমাকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে কারণে বিদেশি শক্তির সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে তারা। বিরোধীরা আমার চরিত্রহনন করতেও ছাড়ছে না। এমনকি আমার স্ত্রীর চরিত্র তুলেও আক্রমণ করছে।
প্রসঙ্গত, ৭৫ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে অভিযোগ করে অনাস্হা প্রস্তাব দেয় বিরোধীরা। তাই এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আগে দু’বার দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্হা ভোটের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে। তবে সেই দুবারই তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীরা (১৯৮৯ সালে বেনজীর ভুট্টো এবং ২০০৬ সালে শওকত আজিজ) দায়িত্বে থেকে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু পাকিস্তানের বর্তমান সংসদীয় সমীকরণ বলছে এ দফায় বড় ধরনের পরাজয়ের সম্মুখীন হতে চলেছেন ইমরান খান।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২২
জেডএ