ঢাকা: প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা মামলা তুরস্কের আদালত সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যদিয়ে এ মামলায় সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন খাশোগির সমর্থকরা।
অভিযোগ রয়েছে, সৌদি রাজ পরিবারের সঙ্গে গোপন লেনদেনের অংশ হিসেবে তুর্কি সরকার এ মামলা সেদেশের কাছে হস্তান্তরে রাজি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) তুর্কি আদালত জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিচার বাতিল করে দিয়ে জানায়, মামলাটি সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ২৬ সৌদি নাগরিকের অনুপস্থিতিতে দেশটিতে এই বিচার কার্যক্রম চলছিল।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও তুরস্কের আদালত এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, তুর্কি আদালতের এমন সিদ্ধান্তে সৌদি আরব মামলাটি নিয়ে নানা কারসাজির সুযোগ পাবে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, তুরস্কে সৌদি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিলের শর্তে আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সম্মতি দিয়েছে রিয়াদ।
জামাল খাশোগি ছিলেন সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর তাকে হত্যা করা হয়।
পশ্চিমা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। মার্কিন কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, যুবরাজ মুহাম্মদের অনুমোদন ছাড়া এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। তবে যুবরাজ এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২২
এনটি