নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে মধ্যরাতেই শুরু হলে ইমরান খানের ওপর অনাস্থা ভোট। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি।
সুপ্রিমে কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী শনিবার (০৯ এপ্রিল) মধ্যরাত ১২টায় শেষ হয় ইমরান খানের ওপর অনাস্থা ভোটগ্রহণের সময়। কায়সার পার্লামেন্টের অধিবেশনটি পরিচালনা করছিলেন। তবে সেটি প্রথমে ইমরান ও তার মন্ত্রিদের অনুপস্থিতির কারণে মুলতবী করা হয়। পরবর্তীতে ইফতার ও এশার নামাজের কারণে ফের মুলতবী করা হয়।
এরপর পাক প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাক আর্মির ত্রিপল ১ ইনফন্ট্রি ব্রিগেড। আকাশে ওড়ানো হয় সামরিক হেলিকপ্টার। উচ্চ সতর্ক অবস্থান নিতে বলা হয় পাকি সেনাদের। ইসলামাবাদের সড়কে অবস্থান নেয় ৬ ট্যাংক।
এই অবস্থার মধ্যে প্রধান বিচারপতি মধ্যরাতেও আদালত খোলা রাখার নির্দেশনা দেন। বলেন, অনাস্থা ভোটগ্রহণ না হলে সেটা হবে আদালত অবমাননা।
সদ্য পদত্যাগী স্পিকার কায়সার বলেন, আমি সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমি আর এই পদে থাকতে পারি না। তাই পদত্যাগ করছি। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিক তার আসনে বসতে বলেন এবং অনাস্থা ভোট গ্রহণের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলেন।
গত রোববার ইমরানের ওপর আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করেছিলেন পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এরপর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের আহ্বানের সাড়া দিয়ে তার আইন সভা ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে আইনসভাকে পুনরুজ্জীবিত করার রায় দেন এবং একই সঙ্গে শনিবার (০৯ এপ্রিল) অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে দেন।
সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, অধিবেশন বসলেও তা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে মুলতবী করা হয়। ইমরান খান ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা অনুপস্থিত হন প্রথম বেলায়। দুপুর ১২টায় অধিবেশ মুলতবির পর বিকেল ফের বসলেও ইফতারে ও এশার নামাজের কারণে ফের মুলতবী করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
ইইউডি/আরএ