ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট হবে আজ (১০ এপ্রিল)। এতে মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দেশটিতে প্রথম ধাপের নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে যে দুজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তারা দ্বিতীয় ধাপের ভোট তথা রান-অফে অংশ নেবেন। প্রথম দফায় কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে ২৩ এপ্রিল হবে দ্বিতীয় ধাপের ভোট।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি ও ইইউ জোটের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একমাত্র স্থায়ী সদস্য হচ্ছে ফ্রান্স। তাই ভবিষ্যতে কে দেশটির নেতৃত্ব দেবেন, ইউক্রেনে রুশ হামলার বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা সারা বিশ্বের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এবারের নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) পরিচালিত সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, মধ্য-ডানপন্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যক্রোঁর সঙ্গে কট্টর ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত মারিন লা পেনের ব্যবধান খুবই কম। তার জয়ের সম্ভাবনা ৪৯ শতাংশ।
২০১৭ সালের নির্বাচনে বড় কোনো দলের সমর্থন ছাড়াই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবেক ব্যাংকার এমানুয়েল ম্যক্রোঁ। সেবার নির্বাচনে জয়ের পর তার দল লা রিপাবলিক এন মারশে পার্লামেন্ট নির্বাচনেও জয় পায়।
২০১৭ সালে ফ্রান্সের সবচেয়ে কমবয়সী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক বছরেও কম সময় আগে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে লা রিপাবলিকা এন মারশে নামে রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করেন ম্যাক্রাঁ। তবে ৪৪ বছর বয়সী এ প্রেসিডেন্টকে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জই জানাচ্ছেন লা পেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ১০ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড