সংসদে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে ইমরান খানকে। কিন্তু এ ঘটনা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তার কর্মী সমর্থকরা।
পাকিস্তানের জিওনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মীরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।
ডয়েচে ভেলে জানাচ্ছে, রোববার করাচি, পেশোয়ার, মুলতান, খানেওয়াল, খাইবার, ইসলামাবাদ, লাহোর, অ্যাবোটাবাদসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভে দলের প্রচুর কর্মী ও সমর্থক সামিল হয়েছেন।
ক্ষমতা হারানোর পর একরম হুংকার দিয়েছেন ইমরান খান। নিজের টুইটার পেজে তিনি লিখেছেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আবার সরকার বদলের বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ সংগ্রাম শুরু হলো। দেশের মানুষই সবসময় পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করেছে।
ইমরানের দলের মুখপাত্র বলেছেলেন, দেশের নীতি ও সংবিধান ভঙ্গের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ হবে। পাকিস্তানের সব শহরে তারা বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছেন।
এদিকে দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করায় ইমরান তার সমর্থকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, স্থানীয় মীরজাফররা বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতায় এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসছে। দেখা যাচ্ছে, দেশে ও বিদেশে বসবাসকারী পাকিস্তানিরা এই চক্রান্তের বিরোধিতা করছেন।
দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হলেও রাস্তায় যানজট ছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটিতে আজই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক জোটের নেতা পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
নিউজ ডেস্ক