ইউক্রেনে একের পর এক শহরে হামলা চালিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সেনা অভিযানের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্ব।
এই অবস্থায় রাশিয়ার তেলের ওপর দেওয়া জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পরিণাম ভালো হবে না বলে উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করেছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। সোমবার ওপেকের মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞায় তেল সরবরাহ ব্যবস্থার ইতিহাসে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এতে ইউরোপে যে তেল সংকট তৈরি হবে, তা পূরণের বিকল্প কোনও উৎস নেই।
ইউরোপে জ্বালানির একটা বড় অংশ রাশিয়া থেকে আসে। বিশেষজ্ঞরাও তাই সতর্কতা দিয়েছেন। জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার এ চেষ্টা ভয়ংকর ফল বয়ে আনবে। বিশেষ করে, জার্মানির গোটা শিল্পব্যবস্থায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়াভিত্তিক বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি ওএমভির প্রধান ইতোমধ্যে বলেই দিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করাটা তার দেশের জন্য অসম্ভব।
প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত এই দুটি অঞ্চল একত্রে ডোনবাস নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ৪৮তম দিনে গড়িয়েছে এ সামরিক অভিযান। এ সময়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
এসআইএস