আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে এই দেশগুলোর সম্পর্ক ধ্বংস হতে বসেছে।
ইইউয়ের সদর দপ্তর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে। গত ৫ এপ্রিল বেলজিয়াম থেকে রাশিয়ার ১৯ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল ইইউ। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইইউয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই কূটনীতিকরা এমন কিছু তৎপরতায় জড়িত, যা তাদের কূটনৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
এই ঘটনার প্রতিবাদে মস্কোতে ইইউয়ের প্রধান দূত মার্কাস অ্যাডেরারকে ওইদিনই তলব করেছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বলেছিল, ইইউয়ের এই পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে।
অবশেষে শুক্রবার তার জবাব দিল মস্কো। এ বিষয়ক এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত কয়েক দশকে রাশিয়ার সঙ্গে ইইউয়ের যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা ধ্বংস হচ্ছে এবং এ জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ইইউ।
বহিষ্কৃত ১৮ কূটনীতিককে যত দ্রুত সম্ভব মস্কো ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
এর আগে রাশিয়াকে ইউক্রেনে অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ক বিশেষ দূত দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেন্টিন বলেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। আমরা কেউই যুদ্ধ পরিস্থিতি চাই না। যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। সাধারণ জনগণ ফলাফল ভোগ করছে।
প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এসআইএস