সম্প্রতি নতুন এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর বুধবার (২০ এপ্রিল) সারমাট নামে অন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি।
কেন একে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বলা হচ্ছে? অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হল এটি একসঙ্গে একাধিক পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। পরমাণু অস্ত্র বহন করে বিশ্বের যে কোনও লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে সারমাট। দ্বিতীয়ত, এই ক্ষেপণাস্ত্রে ১০ বা তার বেশি ‘ওয়ারহেড’ যোগ করা যায়। অর্থাৎ, তা একাধিক যুদ্ধাস্ত্র নির্ভুল ভাবে ছুড়তে পারে। যার ফল, সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে সারমাটের ধ্বংসের ক্ষমতা অনেক বেশি।
বিশেষ এই সারমাট ক্ষেপণাস্ত্রকে পশ্চিমারা ‘দ্বিতীয় শয়তান’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এমনিতেই রাশিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ‘কিনঝাল’ কিংবা ‘অ্যাভানগার্ড’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। সেই তালিকা আরও ভারী করলো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সারমাট।
এমনই প্রযুক্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়েছে যে একে ধরতে পারবে না শত্রুপক্ষের কোনও রেডার। ফলে শত্রুপক্ষের অজান্তেই এই ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে বলে দাবি রুশ সংবাদমাধ্যমের।
রুশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ে প্রায় ২২ বছর ধরে গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণা করে এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা অন্য ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী। বলা হচ্ছে, সারমাটের তিনটি স্তর। ১৮ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে তরল দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২২
আরইউ