ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার মুখে বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন ৫০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।
দেশটির সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল। উইক্রেনের বিভিন্ন শহরে এরই মধ্যে খোঁজ মিলেছে বেশ কয়েকটি গণকবরের।
এই অবস্থায় রাশিয়া বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে আরও আটশ’ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এই সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও কৌশলগত কাজে ব্যবহার করা যায়- এমন ড্রোন ইউক্রেনে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইরত সেনাদের কাছে পাঠাবে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আগামী ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অর্থডক্স ইস্টার উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে রাশিয়া সাড়া দেয়নি।
ওদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মারিউপোলে ইউক্রেন সেনাদের সর্বশেষ দলটি যেখানে অবস্থান নিয়েছে, সেখানে হামলা না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিবর্তে তিনি জায়গাটি এমনভাবে ঘিরে রাখতে বলেছেন যাতে ‘একটি মশাও উড়ে যেতে না পারে’।
প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রায় দুই মাস ধরে চলা অভিযানে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে, ইউক্রেন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২,২০২২
এসআইএস