ইউক্রেনকে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে আক্রমণ করছে না, বরং ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষায় সহায়তা করছে।
বাইডেনের এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে ২ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সামরিক খাতে, ৮৫০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে অর্থনৈতিক সহায়তা খাতে এবং ৩০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে মানবিক সহায়তা খাতে।
মার্কিন কংগ্রেসকে যত দ্রুত সম্ভব এই সাহায্য প্যাকেজ অনুমোদনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, এই প্যাকেজ অনুমোদন খুবই জরুরি। কারণ, এই সাহায্য ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য সহায়ক হবে।
ভাষণে তিনি মার্কিন কংগ্রেসকে ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্যাকেজ পরিকল্পনা বিষয়ে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম এবং মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে এটি তার দ্বিগুণেরও বেশি।
তিনি বলেন, ‘এই সাহায্য সস্তা না। কিন্তু আগ্রাসনের কাছে নতি স্বীকার করে আমরা এটাকে চলতে দিলে এর চেয়ে বেশি মূল্য দিতে হবে। ’
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেনকে কয়েক দফা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নতুন প্রস্তাবিত সহায়তা প্যাকেজ তার চেয়েও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে যত সামরিক সহায়তা দিয়েছে, তা সেখানে প্রতিটি রুশ ট্যাংকের বিপরীতে ১০টি ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র দেওয়ার শামিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখাতে চান যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে অস্পষ্ট হুমকি এবং ইউক্রেন ইস্যুতে হস্তক্ষেপকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার ব্যাপারে সতর্কবাণী সত্ত্বেও তিনি বসে নেই।
রাশিয়া যা করতে চেয়েছিল তা না পেরে হতাশায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তিনি রাশিয়ার এসব হুমকি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, রাশিয়া যা করতে চেয়েছিল তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, ২৯ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড