ঢাকা: ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি বিমান ও যাত্রীবাহী বিমান নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর সমন্বয় বিষয়ক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি।
সামরিক বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিমান নির্মাণ প্রযুক্তি রয়েছে এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা ধরনের বিমান নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।
হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি বলেন, বিমান নির্মাণ ক্ষেত্রে ইরান এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিদেশি সহযোগিতা ছাড়াই নতুন নতুন বিমান তৈরি করছে। এ ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহযোগিতা দিচ্ছে।
ইরানের সেনাবাহিনীর সমন্বয় বিষয়ক প্রধান জানান, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি বিমান ও যাত্রীবাহী বিমান নির্মাণ করেছে। এগুলোর নাম হচ্ছে অযারাখশ, ইরান-১৪১ এবং কোওসার।
ইরান বিশ্বের সর্বাধুনিক নৌ সরঞ্জাম নির্মাণ করার সক্ষমতা রাখে দাবি করে হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের গুটি কয়েক দেশের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক জাহাজ ও ডেস্ট্রয়ার নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ইরানের এই সক্ষমতা রয়েছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বা কুদস এলিট বাহিনী দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচির দায়িত্বে। তাদের কাছে ২ হাজার কিলোমিটার পাল্লা দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র আছে বলে দাবি করেছিল তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, কুদস ফোর্সের মাধ্যমেই ইরান সিরিয়া, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তার প্রভাববলয় বাড়াচ্ছে।
নিউজ এজেন্সি রয়টার্সের মতে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকা আইআরজিসির সেনা, নৌ ও বিমান ইউনিটে এক লাখ ২৫ হাজারের মতো প্রশিক্ষিত সেনা আছে।
ইরানে তৈরি বভার-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশে চলমান যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানকে শনাক্ত করে তা ধ্বংস করতে সক্ষম। বিশেষ করে এ ব্যবস্থা সব ধরনের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ দূরপাল্লার যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে অত্যন্ত কার্যকর। উপরে বভার-৩৭৩ এবং নিচে রাশিয়ার এস-৩০০ ব্যবস্থা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্মিত একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বভার-৩৭৩ ব্যবস্থায়ও রয়েছে অত্যাধুনিক রাডার, যা আগেভাগেই শত্রুর নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র বা শত্রুর জঙ্গিবিমানকে শনাক্ত করতে পারে। এরপর সেই ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান লক্ষ্য করে এই ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আকাশেই সেগুলো ধ্বংস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২২
এনটি