সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক মিত্রদেশ ইরান সফর করেছেন। সফরকালে রোববার (৮ মে) তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আআয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ির সঙ্গে বৈঠক করেন।
২০১১ সালে সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইরান সফর করছেন আসাদ।
ইরানি নেতা সামরিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সিরিয়া সরকারের বড় বড় সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'আজকের সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সিরিয়ার পার্থক্য রয়েছে। এটা ঠিক যে, ঐ সময় সিরিয়া ধ্বংসস্তূপ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে দেশটির সম্মান ও মর্যাদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে এবং সবাই সিরিয়াকে একটি শক্তি হিসেবে গণ্য করছে। ’
তিনি ওই অঞ্চলে সিরিয়ার জনগণ ও প্রেসিডেন্ট আসাদের উচ্চ মর্যাদার কথা উল্লেখ করে বলেন, 'আমাদের এবং আপনাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কিছু নেতা ইসরাইলি নেতাদের সঙ্গে ওঠবস করেন, একসঙ্গে বসে কফি খান। কিন্তু এসব দেশের জনগণই বিশ্ব কুদস দিবসে ব্যাপক সংখ্যায় রাস্তায় নেমে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এটাই এখন এই অঞ্চলের বাস্তবতা। '
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ইরানের প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানির অবদানের কথা উল্লেখ করে সিরিয়ার প্রতি ইরানের সরকার ও জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, গত চার দশক ধরে ফিলিস্তিনের প্রতি ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন থেকে এ অঞ্চলের জনগণের কাছে এটা প্রমাণ হয়েছে যে ইরানের নীতি অবস্থান সঠিক।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করা যায়, কিন্তু নীতি-আদর্শ ধ্বংস হয়ে গেলে সেটাকে ফিরিয়ে আনা যায় না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইমাম খোমেনি (রহ.) এর যে নীতি-আদর্শ ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইরানের জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, বর্তমানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাও সেই একই পথে হাঁটছেন। এ কারণেই ইরানসহ এ অঞ্চলের প্রতিরোধকামী জনগণ বিশেষ করে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বৃহত্তর বিজয়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
রোববার খামেনি ছাড়াও ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গেও বৈঠক করেন বাশার আল–আসাদ। বৈঠকে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, সিরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ় করাকে অগ্রাধিকার দেয় তার সরকার।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় ইরানের অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়তে দেখা গেছে। আসাদ সরকারকে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ৯ মে, ২০২২
এমএমজেড