ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ রাশিয়ান সেনাদের বিশাল একটি বহর দনবাস অঞ্চলের দোনেৎস নদী পার হতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনারা তাদের আটকে দিয়েছে।
শুক্রবার (১৩ মে) অ্যাসোসিয়েট প্রেস’র (এপি) খবরে বলা হয়েছে, দনবাস অঞ্চলের ওই নদী পার হতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম হারিয়েছে রুশ সেনারা। এ ঘটনায় রুশ সেনা সদস্যেদের মধ্যে কেউ নিহত হয়েছেন কিনা পরিষ্কার নয়।
ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে মস্কোর নিষ্পত্তিমূলক বিজয় অর্জনের সংগ্রামে এটি আরেকটি বড় বাধা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ৮ মে থেকে রুশ সেনারা দোনেৎস নদী পার হওয়ার চেষ্টা শুরু করে। ইউক্রেনীয় সেনারা এ সময় সেখানে হামলা চালায়। এতে নদীর ওপর ভাসমান ব্রিজ ধ্বংস হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে ব্রিজের পন্টুন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রুশ বাহিনীর সাঁজোয়া যান।
শুক্রবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনীয় ইনফরমেশন সার্ভিস ইনফরমনাপালমের দাবি, দুই দলে অন্তত ৩০টি ইউনিটে দোনেৎস নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে রুশ সেনারা। দলগুলোর সঙ্গে ট্যাংক, যুদ্ধ যান এবং সাঁজোয়া যান ছিল। তখন ইউক্রেনীয় বাহিনী পানির ওপরের ভাসমান ব্রিজটি ধ্বংস করে দেয়। এতে শত্রুপক্ষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ভাসমান ব্রিজ পার হওয়ার সময় রুশ বাহিনীর একটি ট্যাংকে গুলি করা হয়। বেশ কয়েকটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়। এতে থাকা সেনা সদস্যরা পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক সেনা নদী সাঁতরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ইউক্রেনের সেনা সদস্যরা গুলি চালায়। তবে তারা মারা গেছে কিনা- কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইউক্রেন দাবি করছে, ৮ মের ঘটনায় ৭০টি রুশ যুদ্ধযান ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছে রাশিয়ার শতাধিক সেনা।
এ ঘটনার কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে ইউক্রেনীয় এয়ারবর্ন ফোর্সেস কমান্ড। এসব ছবিতে বেশ কয়েকটিতে পুড়ে যাওয়া সামরিক যান দেখা যায়। কয়েকটি ছবিতে নদীতে আংশিকভাবে নিমজ্জিত একটি সেতুর অংশ ও কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্থ ট্যাংক দেখা যায়।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সেভেরোডোনেটস্ক এবং ইজিয়ামের কাছে উল্লেখযোগ্য ব্যাপক সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের শিল্প অঞ্চলখ্যাত দনবাস দখলে নিতে স্লোভিয়ানস্ক এবং ক্রামতোর্স্কের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, সদস্যরা রাশিয়ার যেকোনো হামলা মোকাবিলা করবে। এজন্য যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার তা নেওয়া আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০, ১৩ মে, ২০২২
এমজে