পুরুষ ও নারী দলকে প্রথমবারের মতো একই পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র সকার (ফুটবল) ফেডারেশন। খেলোয়াড়দের সমানভাবে অর্থ দিতে সম্প্রতি একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা।
আগামী ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা চুক্তিটির ফলে বেতন সমতা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা তীব্র আলোচনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় লিঙ্গ সমতা লড়াইয়ের অগ্রভাগে ছিলেন অ্যালেক্স মরগান ও মেগান রাপিনোর মতো নারী তারকারা। তাদের সংগ্রামের গল্প দলের সঙ্গে এতটাই মিশে গিয়েছিল যে, শিরোপা জয় উদযাপনের সময়ও দর্শকরা গ্যালারি থেকে সমস্বরে আওয়াজ তোলে- ‘সমান বেতন! সমান বেতন!’
মরগান ও র্যাপিনো এখনও এই চুক্তির সুবিধাভোগী হতে পারেন। তবে ২০২৩ সালে পরবর্তী নারী বিশ্বকাপে দলের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ও এই বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বা পুরস্কারের অর্থ নিয়ে। টুর্নামেন্টে একটি দল কতদূর এগিয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রাইজমানি দেওয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে নারী খেলোয়াড়রা ২০১৯ বিশ্বকাপ জেতার জন্য এক লাখ ১০ হাজার ডলার বোনাস পেয়েছেন। আর পুরুষ খেলোয়াড়রা ২০১৮ সালে জিতলে পেতেন চার লাখ সাত হাজার ডলার।
তবে ফিফা ২০২২ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের জন্য প্রাইজমানি মোট ৪৪ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো প্রস্তাব করেছেন, সংস্থাটি ২০২৩ সালের নারী বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড়দের পুরস্কারের অর্থ দ্বিগুণ করে ৬ কোটি ডলারে উন্নীত করবে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা কমপক্ষে ৩২ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
এনএসআর