আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি বা পারমানবিক অস্ত্রের জন্য নিজের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না ফিনল্যান্ড। এমনকি ন্যাটোর সদস্য পদ পেলেও হেলসিঙ্কির বিরোধিতা করবে।
ইতালির জাতীয় দৈনিক কুরিয়ার ডেলা সারাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এ বক্তব্যটি যখন সামনে এলো তার একদিন আগেই সুইডেনের পথ ধরে ফিনল্যান্ডও ন্যাটো যোগ দেওয়ার আবেদন করেছে।
সারা মারিন বলেন, ন্যাটোর সদস্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এ নিয়ে কোনো দরকষাকষিও হয়নি। এমনকি আমি এমনটা মনে করি না যে, ফিনল্যান্ডের মাটিতে সামরিক ঘাঁটি বসানোর বা পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েনের কোনো ইচ্ছা আছে ন্যাটোর।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন- তার দেশও ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি বা পারমানবিক অস্ত্রের মোতায়েন চায় না।
এদিকে রাশিয়া বলছে সুইডেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হলে কোনো ভীতির কিছু নেই। তবে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।
অন্যদিকে তুরস্ক ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সদস্যপদ প্রাপ্তি বিরোধিতা করে আসছে। ১৯৫২ সাল থেকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এ সামরিক জোটের সদস্য দেশটি মনে করে, তুরস্কের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। এ বিরোধিতা না মিটলে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের সদস্য পদ কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।
ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘ ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ইউক্রেনও রাশিয়ার সীমান্ত লাগোয়া দেশ। দেশটিতে রাশিয়ার আক্রমণের একমাত্র কারণই হচ্ছে ইউক্রেনের ন্যাটো প্রীতি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
ইইউডি/এনএইচআর