ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর বদলাতে থাকে ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যুদ্ধের দামামায় শঙ্কিত হয়ে পড়ে পিছিয়ে থাকা শান্তিপূর্ণ দেশগুলো।
রুশ প্রেসিডেন্টের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে ন্যাটো জোটের সদস্যপদ লাভের আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে বিশ্বের শান্তিপূর্ণ এই দেশ দুটি। ন্যাটো জোটের প্রধান শরীক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের সমর্থনও রয়েছে তাদের। তবে ন্যাটোতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ দুটির সদস্যপদ লাভে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে তুরস্ক।
সব দেশের সম্মতি ছাড়া নতুন দেশের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সুযোগ নেই। আর ন্যাটোর এমন নিয়মকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। নিচ্ছেন দেশ দুটির প্রতি জমে থাকা দীর্ঘদিনের প্রতিশোধ।
তুর্কিদের নতুন সুলতান খ্যাতি পাওয়া এরদোয়ানের প্রধান শত্রু ফেতুল্লা গুলেনের অনুসারীদের দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দিয়ে আসছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। দেশ দুটির সমর্থন রয়েছে তুরস্কের সার্বভৌমত্বের প্রধান হুমকি পিকেকে—কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতি। এরদোয়ানকে হঠাতে ২০১৬ সালে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানে অভিযুক্ত ৩০ গুলেনের অনুসারী ও পিকেকে নেতা দীর্ঘদিন ধরে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। বারবার অনুরোধ করেও তাদের ফেরত পায়নি এরদোয়ান সরকার।
এছাড়া ২০১৯ সালে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কুর্দিদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে অভিযান চালানোর অভিযোগে তুরস্কের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয় সুইডেন। এসব কারণে দেশ দুটির ন্যাটো সদস্যপদ লাভে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে তুরস্ক। আবার এমন সিদ্ধান্ত রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার অংশ হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
এনএসআর