বিশ্বের ১২টি দেশে ৮০ জন মানুষের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার (২১ মে) জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, মাঙ্কিপক্স সন্দেহে আরও অন্তত ৫০ জন রোগীকে তারা পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তবে সন্দেহভাজন এসব রোগী কোন কোন দেশের তা জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এরইমধ্যে ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগালসহ ইউরোপের নয় দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতেও মাঙ্কিপক্সের রোগী পাওয়া গেছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্যে।
মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মধ্য আফ্রিকা ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। ওই সব অঞ্চলের মানুষের কাছে মাঙ্কিপক্স খুবই সাধারণ একটি রোগ।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। বেশির ভাগ মানুষ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। ভাইরাসটি খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না।
তাই ব্যাপকভাবে মানুষের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।
মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে গুটি বসন্তের টিকা এ রোগ থেকে ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কারণ দুটি ভাইরাসের ধরন প্রায় একই রকমের।
জ্বর, গায়ে ব্যথা, বড় আকারের বসন্ত মাঙ্কিপক্সের সাধারণ বৈশিষ্ট হলেও এ রোগের কারণে মুখ বা যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, এ রোগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এ রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমকামী পুরুষদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতই ভয়ংকর, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ মারা যেতে পারেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার কোনো উপায় নেই। তবে, অন্যান্য ভাইরাসের মোকাবিলার মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এর প্রকোপ কমানো যায়। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ২১ মে, ২০২২
ইআর