ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অস্থির হয়ে উঠেছে গমের বাজার। নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে শস্যটির রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া, ইউক্রেন, কাজাখস্তান ও ভারত।
আর এর মধ্যেই আশার কথা শুনালেন রুশ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ইঙ্গোসত্রাখ ইনভেস্টেমেন্টসের প্রধান বিশ্লেষক ভিক্টর তুনেভ। তিনি বলছেন, নতুন ফসল উঠলেই কাটবে গমের সংকট। এছাড়া সংঘাতের সমাধান হলে ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে আবারও গম রপ্তানি শুরু হবে। তখন এই সংকট থাকবে না।
রুশ সংবাদমাধ্যম ইজভেস্তিয়াকে বিশেষজ্ঞরা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্বে গমের দাম ৬০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এই দেশ দুটি বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ গম রপ্তানি করে।
গত বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ মৌসুমে রাশিয়া বিশ্বব্যাপী ১৬ শতাংশ গম রপ্তানি করেছে। আর ইউক্রেন রপ্তানি করেছে ১০ শতাংশ গম। যুদ্ধের পর এই দুটি দেশই গম রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইএইইইউ) বাইরে সব ধরনের শস্য রপ্তানি ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত করে রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের দখলে থাকা ওডেসা বন্দর বন্ধ করে দেয়।
অন্যদিকে ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আন্তর্জাতিক বাজারে এই খাদ্যশস্যের দাম আরও বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে গমের বেঞ্চমার্ক ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া-ইউক্রেন গম রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে আফ্রিকার দেশগুলো। মহাদেশটির ৯০ শতাংশ গম কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে আমদানি করা হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিশ্বে গমের প্রধান রপ্তানিকারক নয়। অন্য যেসব দেশ গম রপ্তানিতে এগিয়ে আছে তারাও এই বাজারকে স্বাভাবিক করতে ভূমিকা রাখতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এই দেশগুলো বিশ্বের ২৫ শতাংশ গম রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
ইআর/এনএসআর