সুইজারল্যান্ড ও ইসরায়েলে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৪টি দেশে এ রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেল।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার (২২ মে) বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়, দুটি দেশেই একজন করে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তেরা সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
এদিকে ইসরায়েল সরকার বলছে, সন্দেহভাজন রোগীদের বিষয়টিও তারা খতিয়ে দেখছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যুক্তরাসষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৪টি ৮০ জনের বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
করোনার মহামারি শেষ না হতেই নতুন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ‘মাঙ্কিপক্স’। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১২টি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রামক এ রোগ।
বাংলাদেশেও ‘মাঙ্কিপক্স’ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি বন্দরে (স্থল, নৌ এবং বিমান) বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (২১ মে) রাতে গণমাধ্যমেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে গুটি বসন্তের টিকা এ রোগ থেকে ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কারণ দুটি ভাইরাসের ধরন প্রায় একই রকমের।
জ্বর, গায়ে ব্যথা, বড় আকারের বসন্ত মাঙ্কিপক্সের সাধারণ বৈশিষ্ট হলেও এ রোগের কারণে মুখ বা যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, এ রোগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এ রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমকামী পুরুষদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতই ভয়ংকর, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ মারা যেতে পারেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার কোনো উপায় নেই। তবে, অন্যান্য ভাইরাসের মোকাবিলার মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এর প্রকোপ কমানো যায়। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
ইআর