করোনাভাইরাস মহামারির বিশ্ব থেকে এখনো শেষ হয়নি। এরমধ্যেই বিশ্বে আরো একটি ভাইরাস জেঁকে বসবার উপক্রম করছে।
মাঙ্কিপক্স কী?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি বলছে, ভাইরাসটি ১৯৫৮ সালে প্রথম আবিষ্কার হয়। ১৯৭০ সালের এর নামকরণ করা হয়। ভাইরাসটি গুটিবসন্তের মতো একই প্রজাতির সদস্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। তারপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমণ ঘটায় মাঙ্কিপক্স।
যেভাবে আক্রান্ত হতে পারেন মাঙ্কিপক্সে
টাইম ম্যাগাজিন বলছে, সংক্রমিত প্রাণীর কামড় বা তার রক্ত, শরীরের তরল বা পশম স্পর্শের মাধ্যমে যে কেউ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া সংক্রমিত প্রাণীর মাংস সঠিকভাবে রান্না ছাড়া খাওয়া হলে, ফুসকুড়ি রয়েছে এমন কারো ব্যবহৃত পোশাক, বিছানা অথবা তোয়ালে স্পর্শ করলেও একজন ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি কী কী?
জ্বর, গায়ে ব্যথা, বড় আকারের বসন্ত মাঙ্কিপক্সের সাধারণ বৈশিষ্ট হলেও এ রোগের কারণে মুখ বা যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, এ রোগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এ রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমকামী পুরুষদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে।
মাঙ্কিপক্স কি মৃত্যুর কারণ হতে পারে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মধ্য আফ্রিকায় গবেষণা করা দেখা গেছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে একজন মারা যান। তবে, বেশিরভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে।
মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা কী?
ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার কোনো উপায় নেই। তবে, অন্যান্য ভাইরাসের মোকাবিলার মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এর প্রকোপ কমানো যায়। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ২২ মে, ২০২২
ইআর